বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণে ইসলামী দলগুলোর দাবির বিষয়টি সরকার পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদের। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশন কর্তৃক বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ির মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী। হাতঘড়ি উন্মোচন অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ছবি সংবলিত দুইটি হাতঘড়ি উপহার হিসেবে ওবায়দুল কাদেরকে তুলে দেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনগুলোর আপত্তিকর বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, এ নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখনও করোনা আক্রান্ত। তিনি এখন সামনে আসবেন না। উনি সুস্থ হলে এটা নিয়ে হয়তো আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন বা ওনার সঙ্গে আপনারা আলাপ করতে পারেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদযাপনের সূচনাকালে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সাহসী নেতা হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণা ছিল। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনারের উদ্যোগের জন্য ভারত সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করার যে প্রয়াস তা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ ও জনগণকে সম্মান করা। আর এটি পারস্পরিক ও আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরাও অফিসিয়ালি আমন্ত্রণপত্র পাঠাচ্ছি। আশা করছি তিনি বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কৃত্রিম দেয়াল ভেঙ্গে দু’দেশের মধ্যে এখন রচিত হয়েছে আস্থা ও সৌহার্দ্যের সেতু। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার মাধ্যমে অনেক অমীমাংসিত সমস্যার বিষয়ে সমাধান হয়েছে। আমাদের সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু চলমান আছে সেগুলো এগিয়ে নিতে আমাদের কথা হয়। প্রকল্পের অগ্রগতির জন্য হাইকমিশনারকে বলেছি। দুই দেশের সরকার পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি বাড়াতে আন্তরিক।